উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী প্রজন্মের শাসক হিসেবে মেয়েকে তৈরি করতে চাইছেন কিম জং উন। তার মেয়ে জু আয়ের বয়স এখন ১০ বছর। বাবার সঙ্গে বেশ কয়েকটি সামরিক কর্মসূচিতে দেখা গেছে তাকে। এ থেকেই মেয়েকে উত্তরসূরি হিসেবে গড়ে তুলছেন বলে মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিস (এনএইএস)।

এনএইএস মনে করে, পিয়ংইয়ংয়ের উত্তরাধিকারের পরিকল্পনায় বিবেচিত হওয়ার মতো বৈশিষ্ট্য কিম জং উনের মেয়ে কিম জু আয়ের মধ্যে আছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার পর্যবেক্ষকরা লক্ষ্য করেছেন, ২০২২ সালের নভেম্বরে জু আয়ে যখন প্রথম জনসমক্ষে আসে তখন তাকে ‘প্রিয়’ কন্যার পরিবর্তে ‘সম্মানিত’ কন্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। আর ‘সম্মানিত’ বিশেষণটি উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তির জন্য সংরক্ষিত। জু আয়েকে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তাকে ‘সম্মানিত কমরেড’ বলে সম্বোধন করা শুরু হয়।

এনএইএসের মতে, প্রকাশ্যে প্রথমবার আসার পর থেকে কিম জু আয়ের প্রতি জনসাধারণের সম্মান এবং কার্যকলাপের ওপর বিস্তৃত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তাকেই কিম জং উনের উত্তরসূরি বলে মনে করা হচ্ছে।

এনএইএস আরও বলছে, তারা অন্যান্য সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না। কারণ কিম জং উন এখনো তরুণ এবং তার বড় ধরনের কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যাও নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রী কিম ইউং হো গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে জু আয়ের ব্যাপারে একই রকম মন্তব্য করেছিলেন।

তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার জটিল অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির মধ্যেও কিম জং উন তার মেয়েকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এটাকে এভাবে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়া জু আয়েকেই উত্তরসূরি হিসেবে দেখাতে চায়।

উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের বলা হয়েছে, কিমদের বংশধারা পবিত্র। অর্থাৎ কেবল তারাই উত্তর কোরিয়াকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। কিম জং উন তাই দেশের নেতৃত্বের পদটি বংশের চতুর্থ জেনারেশনের হাতেই দিতে চাইবেন।

সম্প্রতি জু আয়েকে তার বাবার সঙ্গে দেশের সবচেয়ে উন্নত ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হাওয়াসং-১৮ সলিড-ফুয়েল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।

গত নভেম্বরে উত্তর কোরিয়া যখন ম্যালিগইয়ং-১ নামক স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে তখনো জু আয়ে ছিল কিম জং উনের পাশে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, জু আয়েকে জনসাধারণের কাছে আগে থেকেই পরিচিত করা কিম জং উনের পরিকল্পনার অংশ হতে পারে যে, তিনি উত্তরসূরি হিসেবে তার মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করছেন। কঠোরভাবে পিতৃতান্ত্রিক উত্তর কোরিয়ার জন্য কুসংস্কার কাটিয়ে ওঠার একটি উপায়ও হতে পারে এটি। কারণ দেশটির নেতৃত্ব কখনই কোনো নারীর হাতে আসেনি।

বেশ কিছু নিম্নস্তরের ইরানি কর্মকর্তা সোলাইমানির স্মরণসভায় বিস্ফোরণের জন্য ‘ইহুদিবাদীদের’ দায়ী করেছেন। তবে ইসলামিক স্টেটে জঙ্গিদের সুন্নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।